Home »
» বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ভাবনা কী জানতে চাইলে এমন উত্তর দেওয়া যেতে পারে
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ভাবনা কী জানতে চাইলে এমন উত্তর দেওয়া যেতে পারে
By Admin নভেম্বর ২৮, ২০২০
ভাইভা
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ভাবনা কী জানতে চাইলে এমন উত্তর দেওয়া যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু ও আমাদের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ অর্জনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি প্যাকেজ পলিসি চালু করেছে। এগুলো হচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি (Economic Diplomacy) ও জনকূটনীতি (Public Diplomacy)।
অর্থনৈতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে লক্ষ্য হচ্ছে :
১। বিনিয়োগ বৃদ্ধি; বিনিয়োগের পরিধি বাড়িয়ে গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হয়ে গড়ে তোলা।
২।নতুন নতুন প্রযুক্তিতে সিদ্ধহস্ত হওয়া।
৩।রফতানির পরিধি ও বৈচিত্র্য বাড়ানো।
৪।জনশক্তির যথোপযুক্ত কর্মসংস্থানের (Gainful employment) ব্যবস্থা করা এবং
৫।প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্নত সেবা প্রদান।
জনকূটনীতির ওপর জোর দিতে চাই বাংলাদেশ । বাংলাদেশের কূটনীতিকরা পৃথিবীর সব দেশে জনকূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করি।
বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শান্তির দেশ। আমরা শান্তির সংস্কৃতি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চাই। এছাড়া আমাদের অর্জনগুলো বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও পাবলিকেশন্সের মাধ্যমে তুলে ধরে বিশ্বে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি আরও বাড়াতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্নয়নের মহাসড়কে সম্পৃক্তকরণে একটা বিশেষ প্রকল্প হল RIPEN.
RIPEN-এর ‘R’ হল রেমিট্যান্স। যেহেতু রেমিট্যান্স বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত, সরকার এ বিষয়টি ওই প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব প্রদান করেছে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রেমিট্যান্স সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি বিশেষ সেল থাকা প্রয়োজন।
‘I’ হল Investment. বহু প্রবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসে। আমরা এদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের প্রবাসীদের কাজে লাগাতে চাই। প্রবাসীদের বিনিয়োগ প্রস্তাব কাজে লাগাতে বিনিয়োগের শর্ত ও পদ্ধতি সহজতর করা উচিত বলে আমি মনে করি। উল্লেখ্য, গণচীনের ৬৬ শতাংশ বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে তাদের প্রবাসী চৈনিকদের মাধ্যমে। ভারতে ব্যাঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে প্রবাসী ভারতীয়দের জয়জয়কার।
RIPEN-এর ‘P’ হচ্ছে Philanthrophy. প্রবাসীরা অনেক কিছু দান করেন। যেমন অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের সরঞ্জামাদি ইত্যাদি। হয়রানিমুক্তভাবে এসব দানসামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি সেল তৈরি করা যেতে পারে।
‘E’ হচ্ছে ‘Exchange of Expertise and Experiance’. আমাদের ছেলেমেয়েরা আমেরিকার সাইবার সিকিউরিটির ওপর বড় বড় কাজ করে; বড় বড় কনসালটেন্ট। তারা অনেক সময় স্বদেশের জন্য সস্তায় সার্ভিস দেয়; এমনকি বিনা পয়সায়। প্রবাসে বড় বড় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক আছেন। তারা যখন দেশে আসেন, তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে একটি সেল তৈরি করা যেতে পারে। এতে উভয় পক্ষ লাভবান হবে। ।
‘N’ হচ্ছে নেটওয়ার্কিং। বিদেশে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধিতে আমাদের কাজ করতে হবে। একজন মন্ত্রী বিদেশে গিয়ে যদি বলে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ, এটি কিছু লোক বিশ্বাস করলেও অনেকে করবে না; কারণ সরকারি লোক। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশে যে ব্যক্তির নিজ কর্মদক্ষতার জন্য গ্রহণযোগ্যতা আছে, তিনি যদি একই কথা বলেন, তবে অনেকে বিশ্বাস করবে।
উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, জিই-এর সিইও, কংগ্রেসম্যান বা এমপিরা যদি বলেন, ‘বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ’ তাহলে সবাই বিশ্বাস করবে। এ ধরনের লোকদের নিয়ে একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ক্লাব গড়ে তোলা যেতে পারে। এ ধরনের ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে তাদের দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে কাজে লাগাতে হবে।
সংগ্রহ ও পরিমার্জনঃ হিরাত উদ্দিন
উৎসঃ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ।
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................


