ভাস্কর্যের স্হপতি নিয়ে পরীক্ষায় প্রায় প্রশ্ন থাকে;আর এতে অনেক সময় কনফিউশান লেগে যায়---কোনটার কোন শিল্পী। এ Episode টি আপনাকে ভাস্কর্যের স্হপতি সম্পর্কে মজা দিয়ে মনে রাখতে সাহায্য করবে আমার বিশ্বাস। Episode টি ৫-৬ বার পড়লে আশা রাখছি
স্হপতিদের নাম মুখস্হ হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে------
.
.
ইকরাম, মীমকে "এহসান" স্যারের নির্মিত "হাতিরঝিলে" ডেটিংয়ের জন্য প্রপোজ করল। মীম হাতিরঝিল পছন্দ করে না;সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে "আবদুল্লাহ খালিদের" অপরাজেয় বাংলার সিঁড়িতে বসে বসে বাদাম খেতে ও গল্প করতে পছন্দ করে। ইকরাম বলল চলো বাংলা একাডেমির সামনে "অখিল পালের" মোদের গরব ঘুরে আসি। ভালো লাগবে। মীম সাথে সাথে রেগে গিয়ে বলল সারা জীবন তো শুধু বাংলা একাডেমিই বুঝলা। হুহ্! তোমার মন কেন যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্হিত "রবিউল হুসাইনের" দেশের সর্বোচ্চ শহীদ মিনারের মতো উঁচু হলো না। তোমাকে কী কারণে যে প্রেমের প্রস্তাব দিলাম আল্লাহ্ই জানে।রাগ করো না, সরি সরি তাহলে চলো "হামিদুর রহমানের "নির্মিত "কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে" দু'জন মিলে সেলফি তুলব। মীম বলল, কুল ডাউন ম্যান, প্রথমে আমরা "তানভীর করিমের" মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য "আব্দুর রাজ্জাকের" জাগ্রত চৌরঙ্গী যাবো। তারপর "শামীম শিকদারের" স্বোপার্জিত স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কার্য "স্বাধীনতার সংগ্রামে" ইচ্ছামতো সেলফি তুলব ও ফেসবুকে আপলোড করব। ইশ্! কত্তোগুলো মজা হবে। তুমি তো প্রেম-ট্রেম কিচ্ছু বুঝো না; সব আমাকেই বলতে হয়। হুহ্! আই শুনো না--তুমি আমাকে "হামিদুজ্জামানের" সংশপ্তক ও " নিতুন কুন্ডের" শাবাশ বাংলাদেশ দেখাতে নিয়ে যাবা? আর আমি তোমার থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে "শ্যামল চৌধুরীর"বিজয় ৭১ ও "ঢাকা সেনানিবাসে অবস্হিত মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘর "বিজয় কেতনে" ও যাবো। তুমি ঘুরে ঘুরে আমাকে সব দেখাবা। আর মাঝে মাঝে আমরা প্রেমের গল্প ও করব। কেমন? শুনো সবার শেষে "মৃণাল হকের" রাজারবাগে অবস্হিত "দুর্জয়" ভাস্কর্যটিতে এসে বিয়ের ডেট কখন দিবা তা জানিয়ে দিব। এরপর হানিমুনে করতে "হামিদুজ্জামানের" সিউল অলিম্পিকে-এ "স্টেপস" ভাস্কার্যটি দেখতে যাবো। আর আমাদের ছেলে হলে "মুস্তফা মানোয়ারের" মিশুক -এর নামে বেবির নাম রাখব। একবার ভেবে দেখে তো কত্তোগুলা ইয়াম্মি হবে!
Headed by,
Ekarash Chowdhury Ekram
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র(আলোর ইশকুল
।।।
হামিদুজ্জামানের ভাস্কর্য সমূহঃ-
"মিশুক" মিয়া "শান্তির পাখি" "স্মৃতির মিনার" "হামলা" করে "রুই কাতল" ছিনিয়ে নিয়ে যায়। "কিংবদন্তী" "সংশপ্তক" বিভিন্ন "স্টেপসে" তাদেরকে "স্বাধীনতার" "ক্যাকটাসে" ফিরিয়ে আনে।
।।
=====
★ ভাস্কর্য সমূহ [ মজা করি চলুন by AFD]
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
#শামীম_শিকদার :
---------------
----> কৌশল : শামীমার স্বামী স্বোপার্জিত স্বাধীনতা সংগ্রামের জয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বিজয় উল্লাস করে Gate no 3 এ :-D
_________________
স্বামী বিবেকানন্দ - জগন্নাথ হল, ঢা : বি :
স্বাধীনতা সংগ্রাম - ফুলার রোড, ঢা: বি :
বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ - ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
বিজয় উল্লাস - আনোয়ার পাশা ভবন, ঢাবি
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা - টিএসসি, ঢা : বি:
Gate no 3 - ঢাকা সেনানিবাস।।
************************************
#হামিদুজ্জামান
-------------
-------> কৌশল :
" স্বাধীনতা তুমি - হামিদুজ্জামানের স্মৃতির মিনার,
স্বাধীনতা তুমি - রোকেয়ার শান্তির পায়রা
স্বাধীনতা তুমি - জা: বি এর সংশপ্তক
স্বাধীনতা তুমি - শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকা
স্বাধীনতা তুমি - ফার্মগেটের রুই কাতলা, ইস্পাতেরর ক্যাকটাস "
_____________________
স্বাধীনতা - কাজী নজরুল ইসলাম
স্মৃতির মিনার - জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
শহীদ মি : সংলগ্ন আবাসিক এলাকা - ঢাকা
সংশপ্তক - জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
শান্তির পায়রা - টিএসসি, ঢা:বি:
বেগম রোকেয়া - ঢা : বি :
রুই কাতলা - ফার্মগেট
ক্যাকটাস - ঢা : বি:
ও ইস্পাত
***********************************
#নিতুন_কুন্ড
-----------
-------> নিতুনের অনেক সাম্পানের ফোয়ারা, সাবাশ নিতুন :-)
______________________
কদম ফোয়ারা - জাতীয় ঈদগাহ
সার্ক ফোয়ারা - সোঁনারগা হোটেল,কারওয়ান বাজার
সাম্পান - শাহ আমানত বিমান বন্দর
সাবাশ বাংলাদেশ - রাজাশাহী বি:
************************************
#মোস্তফা_হারুন_কুদ্দুস_হিলি
-------------------------
----> কৌশল : কুদ্দুস হিলির বুদ্ধিতে রাজা আজ বাঘ :-)
____________________
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ - মিরপুর
রাজারবাগ স্মৃতিসৌধ - রাজারবাগ
************************************
#আজিজুল_জলিল_পাশা
-----------------------
----> কৌশল : পাশার চত্বরে শাপলা ও দোয়েল এর ডেটিং :-P
_____________________
দোয়েল চত্বর - তিন নেতার মাজার, ঢা: বি:
শাপলা চত্বর - মতিঝিল
( শাপলা বাগান :-D )
*************************************
#মৃনাল_হক
----------
-------> মৃনালের ফ্যামিলিতে বর্ষা রানীর জামাই BDR রত্ন কোতয়াল ও রাজসিক Captain জাহাঙ্গীর।।
তাছাড়া, পাখি -> বলাকা, অর্ঘ্য, ঈগল ও সমুদ্রের ডলফিন ( বসতি)
যুদ্ধ রিলেটেড -> দুর্জয়, চির দুর্জয়, প্রত্যাশা, প্রতিরোধ, জুবিলী ইত্যাদি।।
প্রবেশপথ -> Airport, BDR ও Police Gate
_______________________
জ্যাংক ইয়ার্ড ফ্যামিলি ( অ্যান্টিক গাড়ী) - তেজগাঁও
বর্ষারাণী - সাত রাস্তা মোড়, ঢাকা
BDR ভাস্কর্য - ঝিগাতলা
রত্নদ্বীপ - তেজগাঁও
রাজসিক - রুপসী হোটেল
বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন - চাঁপাই
অতলান্তিকে বসতি ( ডলফিন) - নৌ সদর
বলাকা ( ৪ টি বক) - মতিঝিল
ঈগল পাখি - পুরাতন বিমানবন্দর, ঢাকা
অর্ঘ্য - সায়েন্স ল্যাবরেটরি
কোতোয়াল - মিন্টুরোড
চির দুর্জয়, দুর্জয় - রাজারবাগ
প্রতিরোধ - নারায়নগঞ্জ
জুবিলী টাওয়ার - রাজাশাহী বি:
***********************************
#নভেরা_আহমেদ (মার্চ ২৯, ১৯৩৯–মে ৬, ২০১৫) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ভাস্কর। তিনি বাংলাদেশের ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত এবং প্রথম বাংলাদেশী আধুনিক ভাস্কর।
পঞ্চাশের দশকে ভাস্কর হামিদুর রহমানের সাথে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রাথমিক নকশা প্রণয়নে অংশগ্রহণ করছিলেন। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে। তিনি প্রায় ৪৫ বছর ধরে, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্যারিসে বসবাস করেন।
প্রাথমিক জীবন
নভেরার জন্ম বাংলাদেশের সুন্দরবনে মার্চ ২৯, ১৯৩৯ সালে।চাচা নাম রাখেন নভেরা। ফার্সি শব্দ ‘নভেরা’র অর্থ নবাগত, নতুন জন্ম। কর্মসূত্রে তার বাবা সৈয়দ আহমেদ কর্মরত ছিলেন সুন্দরবন অঞ্চলে। তবে পৈতৃক নিবাস
চট্টগ্রামের আসকারদিঘির উত্তর পাড়। পরবর্তীতে তার বাবা চাকরিসূত্রে কিছুকাল কলকাতায় অবস্থার করায় নভেরার শৈশব কেটেছে কলকাতা শহরে। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই তিনি নাচ, গান শেখার পাশাপাশি মাটি দিয়ে মডেলিং করতেন। তিনি কলকাতার লরেটা থেকে প্রবেশিকা (ম্যাট্রিক) পাস করেন।
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারত বিভাগের পর তারা পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ ) কুমিল্লায় চলে আসেন। এ সময় নভেরা কুমিল্লার
ভিক্টোরিয়া কলেজে ভর্তি হন। পিতার অবসরগ্রহণের পর তাদের পরিবার আদি নিবাস চট্টগ্রামে গিয়ে স্থায়ী বসবাস শুরু করে। এরপর চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন তিনি। পরবর্তী আইন শিক্ষার জন্য তাকে বাড়ি থেকে লন্ডনে পাঠানো হয় ১৯৫০ সালে। তবে শৈশব থেকেই নভেরার ইচ্ছা ছিল ভাস্কর্য করার, তাই তিনি সেখানে সিটি অ্যান্ড গিল্ডস্টোন কার্ভিং ক্লাসে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৫১ সালে ভর্তি হন
ক্যাম্বারওয়েল স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটসে ন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন ডিজাইনের মডেলিং ও স্কাল্পচার কোর্সে। সেখান পাঁচ বছর মেয়াদের ডিপ্লোমা কোর্স করার পর ১৯৫৫ সালে তিনি ইতালির ফ্লোরেন্স ও ভেনিসে ভাস্কর্য বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন।। কিছু কাজের মধ্য : পরিবার (১৯৫৮), যুগল (১৯৬৯), টোটেম বা মেডিটেশন (১৯৬৮), ওয়েলডেড স্টিলের জেব্রা ক্রসিং (১৯৬৮), অবয়ব
ইকারুস (১৯৬৯) ইত্যাদি
---> নভেরার প্রথম একক ভাস্কর্য প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছিল ১৯৬০ সালের ৭ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় গণ গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার )
---> নভেরার দ্বিতীয় একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে ব্যাংককে।
---> ১৯৭৩ সালে জুলাই মাসে তার তৃতীয় একক প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছিল প্যারিসের রিভগেস গ্যালারিতে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে প্যারিসে তার পূর্বাপর কাজের একশ দিনব্যাপী একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।
----> ১৯৬১ সালে ভাস্কর হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন তিনি।
ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব পেইন্টিং স্কাল্পচার এ্যান্ড গ্রাফিক আর্টস শিরোনমে এই প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া তার ছ’টি ভাস্কর্যের মধ্যে চাইল্ড ফিলোসফার নামে একটি ভাস্কর্য বেস্ট স্কাল্পচারে পুরস্কৃত হয়।
----> নভেরা (১৯৯৫) শিরোনামে জীবনী উপন্যাস রচনা করেছেন হাসনাত আবদুল হাই। নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্য চিত্র নহন্যতে (১৯৯৯)।
---> বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি হলের নামকরণ করা হয়েছে "ভাস্কর নভেরা আহমেদ হল"।
----> ১৯৭৩ সালে দেশ ত্যাগ করে প্যারিসে বসবাস শুরু করেন।।
----> কৌশল : নারী কৃষক মা নভেরা
____________________
কৃষক পরিবার - জাতীয় জাদুঘর
নারী,শিশু ও পুরুষ - ঢা: বি :
মা ও শিশু - মুজিব হল, ঢাকা
***********************************
#সৈয়দ_আবদুল্লাহ_খালেদ
-----------------------
-----> কৌশল : অপারেজয় খালেদের অঙ্গীকার
___________________
অপারেজয় বাংলা - কলা ভবন, ঢা: বি
[ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৯ সালে ]
অঙ্গীকার - চাঁদপুর
************************************
#রাশা
-------
----> কৌশল : বঙ্গবন্ধুর হাস্যজ্জ্বল ডাকে রাশার মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
_____________________
হাস্যজ্জ্বল বঙ্গবন্ধু - ঝিগাতলা
স্বাধীনতার ডাক - গনকবাড়ী, সাভার
৭১ এর গনহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি - জগন্নাথ বি :
***********************************
#শ্যামল_চৌধুরী
-----> কৌশল : ৭১ এর বিজয়ের পর শ্যামল সোনার বাংলায় রাজু কে নিয়ে সন্ত্রাস নির্মুল করে।
___________________
বিজয় ৭১ - বা: কৃষি বি:, ময়মনসিংহ
সোনার বাংলা - ঐ
রাজু সন্ত্রাস বিরোধী ভাস্কর্য - টিএসসি, ঢাবি
**********************************
#আবদুর_রাজ্জাক
-----> কৌশল : রাজ্জাকের চৌরাঙেগ বিজয়ের ফোয়ারা
_________________
জাগ্রত চৌরাঙগ - গাজীপুর [ মুক্তিযদ্ধের প্রেরনায় ১ম ভাস্কর্য ]
বিজয় সরনী ফোয়ারা - ফার্মগেট
**********************************
#অন্যান্য :
---------
১। ওসমানী মিলনায়তন - আমিনুল ইসলাম
২। সংসদ ভবন - লুই আই কান
৩। বিমানবন্দর - লারোস
৪। কমলাপুর রেলষ্টসন - বব বুই
৫। বায়তুল মোকাররম - আবদুল হুসেইন থারিয়ানি
৬। তিন নেতার মাজার - মাসুদ আহমেদ ( সোহরাওর্দী উদ্যান দ :)
৭। মোদের গর্ব ( ৫২ এর) - অখিল পাল
( বাংলা একাডেমী)
৮। স্মারক ভাস্কর্য - চ : বি - মুর্তজা বশীর
৯। স্ফুলিঙ্গ - কনক কুমার পাঠক
১০। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার - হামিদুর রহমান
১১। বীরের প্রত্যাবর্তন - সুদীপ্ত রায়
১১। মিশুক - মুস্তফা মনোয়ার
১২। শিশু পার্ক - শামসুল ওয়ারেস
১৩। বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ ( রায়ের বাজার) - ফরিদউদ্দিন ও জামি আল সাফি
১৪। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ - তানভীর কবির
১৫। জয় বাংলা, জয় তারণ্য ভাস্কর্য - আলাউদ্দিন বুলবুল
১৬। দেশের সর্বোচচ শহীদ মিনারের স্থপতি - রবিউল হুসাইন
************************************
অবস্থান :
শিখা চিরন্তন - সোহরাওর্দী উদ্যান
রক্ত গৌরব - রংপুর
সূর্যমুখী - ঢাকা
একাওর স্মরনে ভাস্কর্য - বাংলা একাডেমী
মুক্তিযদ্ধ শহীদ স্মৃতি ভাস্কর্য - ঢাকার বিমান বাহিনীর সদরের উওর পাশে
স্বাধীনতা স্তম্ব এবং স্বাধীনতা জাদুঘর - সোহরাওর্দী উদ্যান [ ২৬ মার্চ ২০১৫]
মরুদ্বীপ ৭১, স্বাধীনতা পার্ক - কটিয়াদি, কিশোরগঞ্জ
বাংলার বিজয় ভাস্কর্য - ষোলশহর, চট্রগ্রাম
--> ৭১
চেতনা ৭১ - কুষ্ঠিয়া পুলিশ লাইন - মো: মাইনুল
বিজয় ৭১ - বা : কৃষি বি :, ময়মনসিংহ
মরুদ্বীপ ৭১ - কিশোরগঞ্জ
টাওয়ার ৭১ - রাজারবাগ পুলিশ লাইন
(৫০ তলা)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
★ জাতীয় স্মৃতিসৌধ - সাভার - সৈয়দ মাঈনুল হোসেন ( ৪৬.৫ মিটার)
__________________________
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের সর্বমোট আয়তন ৮৪ একর। স্মৃতিস্তম্ভ পরিবেষ্টন করে রয়েছে ২৪ একর এলাকাব্যাপী বৃক্ষরাজিশোভিত একটি সবুজ বলয়। স্মৃতিসৌধটির উচ্চতা ১৫০ ফুট। সৌধটি সাত জোড়া ত্রিভুজাকৃতির দেয়াল নিয়ে গঠিত। দেয়ালগুলো ছোট থেকে ক্রমশঃ বড়ক্রমে সাজানো হয়েছে। এই সাত জোড়া দেয়াল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাতটি ধারাবাহিক পর্যায়কে নির্দেশ করে। ১৯৫২-র ভাষা আন্দোলন , ১৯৫৪
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন , ১৯৫৬ শাসনতন্ত্র আন্দোলন , ১৯৬২ শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যূত্থান , ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ - এই সাতটি ঘটনাকে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসাবে বিবেচনা করে সৌধটি নির্মিত হয়েছে।
১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকা শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবীনগরে এই স্মৃতিসৌধের শিলান্যাস করেন। ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্মৃতিসৌধটি নির্মাণের উদ্যাগ গ্রহণ করেন এবং নক্শা আহবান করা হয়। ১৯৭৮-এর জুন মাসে প্রাপ্ত ৫৭টি নকশার মধ্যে সৈয়দ মাইনুল হোসেন প্রণীত নকশাটি গৃহীত হয়। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে মূল স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে বিজয় দিবসের অল্প পূর্বে সমাপ্ত হয়। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে গৃহীত প্রকল্প অনুযায়ী এখানে একটি অগ্নিশিখা, সুবিস্তৃত ম্যুরাল এবং একটি গ্রন্থাগার স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশ সফরকারী বিদেশী রাষ্ট্র প্রধানগণের নিজ হাতে এখানে স্মারক বৃক্ষরোপণ করে থাকেন। স্মৃতিসৌধের মিনার ব্যতিত প্রকল্পটির মহা-পরিকল্পনা ও নৈসর্গিক পরিকল্পনাসহ অন্য সকল নির্মাণ কাজের স্থাপত্য নকশা প্রণয়ন করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থাপত্য অধিদপ্তর। নির্মাণ কাজের গোড়া পত্তন হয় ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে এবং শেষ হয় ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দের মাসে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর সমগ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। বর্তমানে সৌধটির নির্মাণ কাজ তিন পর্যায়ে মোট ১৩.০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়।
এই সৃতিসৌধ সকল দেশ প্রেমিক নাগরিক এবং মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় ও সাফল্যের যুগলবন্দি রচনা করেছে।
____________________
স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন (জন্ম: ১৭ মার্চ, ১৯৫১, মৃত্যু: ১০ নভেম্বর, ২০১৪)
বাংলাদেশের প্রখ্যাত স্থপতি। তিনি
জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্থপতি।
------> ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সৈয়দ মাইনুল হোসেন ৩৮টি বড় বড় স্থাপনার নকশা করেছেন৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য-
জাতীয় স্মৃতিসৌধ (১৯৭৮)
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (১৯৮২)
ভোকেশনাল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইস্টিটিউট (১৯৭৭)
বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবন (১৯৭৮)
চট্রগ্রাম ইপিজেড এর অফিস ভবন (১৯৮০)
শিল্পকলা একাডেমীর বারো'শ আসন বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম
উত্তরা মডেল টাউন (আবাসিক প্রকল্প ) (১৯৮৫)
----> পুরস্কার :
একুশে পদক (১৯৮৮)
শেলটেক পদক (২০০৭)
**********************************
#শহীদ_মিনার :
-------------
ঠিকানা : ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাস, ঢাকা
উচ্চতা : ১৪ মিটার (৪৬ ফুট)
নকশা এবং নির্মান : স্থপতি হামিদুর রহমান
-----------------
প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছিল অতিদ্রুত এবং নিতান্ত অপরিকল্পিতভাবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ শুরু করে রাত্রির মধ্যে তা সম্পন্ন করে। শহীদ মিনারের খবর কাগজে পাঠানো হয় ঐ দিনই। শহীদ বীরের স্মৃতিতে - এই শিরোনামে দৈনিক আজাদ পত্রিকায় ছাপা হয় শহীদ মিনারের খবর।
মিনারটি তৈরি হয় মেডিকেলের ছাত্র হোস্টেলের (ব্যারাক) বার নম্বর শেডের পূর্ব প্রান্তে। কোণাকুণিভাবে হোস্টেলের মধ্যবর্তী রাস্তার গা-ঘেঁষে। উদ্দেশ্য বাইরের রাস্তা থেকে যেন সহজেই চোখে পড়ে এবং যে কোনো শেড থেক বেরিয়ে এসে ভেতরের লম্বা টানা রাস্তাতে দাঁড়ালেই চোখে পড়ে। শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উচ্চ ও ৬ ফুট চওড়া। মিনার তৈরির তদারকিতে ছিলেন জিএস শরফুদ্দিন (ইঞ্জিনিয়ার শরফুদ্দিন নামে পরিচিত), ডিজাইন করেছিলেন বদরুল আলম। সাথে ছিলেন সাঈদ হায়দার। তাদের সহযোগিতা করেন দুইজন রাজমিস্ত্রী। মেডিকেল কলেজের সম্প্রসারণের জন্য জমিয়ে রাখা ইট, বালি এবং পুরান ঢাকার পিয়ারু সর্দারের গুদাম থেকে সিমেন্ট আনা হয়। ভোর হবার পর একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় মিনারটি। ঐ দিনই অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে, ২২ ফেব্রুয়ারির শহীদ শফিউরের পিতা অনানুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে দশটার দিকে শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দিন । উদ্বোধনের দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ও সেনাবাহিনী মেডিকেলের ছাত্র হোস্টেল ঘিরে ফেলে এবং প্রথম শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে। এরপর ঢাকা কলেজেও একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হয়, এটিও একসময় সরকারের নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
অবশেষে, বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দেবার পরে ১৯৫৭ সালের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাজ শুরু হয়। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে।
উল্লেখ্য : বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার - রাজাশাহী কলেজে স্থাপিত হয়।
-------------
স্থপতি : হামিদুর রহমান :
হামিদুর রহমান (জন্ম: ১৯২৮, ঢাকা - মৃত্যু :
নভেম্বর ১৯, ১৯৮৮ কানাডা ) ছিলেন
বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। তিনিই ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিমাখা
শহীদ মিনারের নকশা করেন।
[ সহযোগী : নভেরা আহমেদ ]।।
হামিদুর রহমানের রূপকল্পনা অনুসারে
১৯৬২ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি কিছুটা পরিবর্তিত আকারেই শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ আরম্ভ হয়। ১৯৬৩ সালের
২১শে ফেব্রুয়ারি নতুন শহীদ মিনারের উদ্বোধন করা হয়।
১৯৮০ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭২ সালে মাদার অ্যান্ড স্মোক চিত্রের জন্য তিনি 'ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব বাংলাদেশী পেইন্টার্স' থেকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তাঁর ফ্লাওয়ার ইন মাই বডি চিত্র ইরানের ' ৫ম তেহরান দ্বিবার্ষিক '-এ প্রথম পুরস্কার লাভ করে। কমনওয়েলথ পেইন্টার্স এক্সিবিশনে শ্রেষ্ট পুরস্কার হিসেবে সম্মানিত হয় তাঁর অঙ্কিত বোট। ১৯৬২ সালে তাঁর সানফ্লাওয়ার চিত্রটি
পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডি তে 'ন্যাশনাল এক্সিবিশন অব পেইন্টিংস অ্যান্ড স্কালপচার্স'-এ শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করে। ১৯৭০ সালে
পাকিস্তান সরকার তাঁকে 'প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড অব প্রাইড অব পারফরমেন্স ফর পেইন্টিং' পদক প্রদান করলেও হামিদুর রহমান কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়।।
চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর হামিদুর রহমানের পরিবার থেকে তাঁর নামাঙ্কিত হামিদুর রহমান পুরস্কার প্রদান করা হয়। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন এই পুরস্কার প্রদানের দায়িত্বে থাকে।।
লিখেছেন : আহাম্মেদ ফয়সল ডিজুস
Home »
৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি
» গুরুত্বপূর্ণ সব ভাস্কর্যের স্হপতি
গুরুত্বপূর্ণ সব ভাস্কর্যের স্হপতি
By ─────────────── সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................