Home »
» চর্যাপদের প্রবাদ কয়টি ও কী কী?
চর্যাপদের প্রবাদ কয়টি ও কী কী?
By Admin নভেম্বর ২৮, ২০২০
#চর্যাপদ
প্রশ্নঃ চর্যাপদের প্রবাদ কয়টি ও কী কী?
উত্তর: ৬টি।
যথা -
> আপণা মাংসেঁ হরিণা বৈরী (৬নং পদ-ভুসুকুপা)। অর্থ -হরিণের মাংসই তার জন্য শত্রু। মানে হরিণের মাংস দেখলেই শিকারি তাকে ধাওয়া করে। তাই এর মাংসের জন্য সে শিকারের স্বীকার হয়।
> হাতের কাঙ্কন মা লোউ দাপন (৩২নং পদ-সরহপা)। অর্থ হাতের কাঁকন দেখার জন্য দর্পন প্রয়োজন হয় না।
> হাড়ির ভাত নাহি নিতি আবেশী (৩৩ নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ হাঁড়িতে ভাত নেই, অথচ প্রতিদিন প্রেমিকরা এসে ভীড় করে।
> দুহিলা দুধ কি বেন্টে সামায় (৩৩নং পদ-ঢেগুণপা)। অর্থ দোহন করা দুধ কি বাটে প্রবেশ করানো যায়?
> বর সুন গোহালী কিমু দুঠ্য বলন্দেঁ (৩৯নং পদ সরহপা)। অর্থ দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। এই প্রবাদ টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় পরীক্ষাতেই এটা আসে। বিগত বিসিএসে আসা প্রশ্ন ছিল- এ বাক্যে গোয়াল কোন কারক? - এটি অধিকরণ কারক হবে। কারণ এখানে স্থান বোঝাচ্ছে।
> আন চাহন্তে আন বিনধা (৪৪নং পদ কঙ্কণপা)। অর্থ অন্য চাহিতে, অন্য বিনষ্ট।
একের অধিক পদর্কতার নাম ও পদের সংখ্যা-
ভুসুক পা (বাঙালি কবি) ৮
সরহ পা ৪
কুক্কুরী পা (মহিলা কবি) ৩
লুই পা, শবর পা, শান্তি পা ২
লাড়ীডোম্বী পা‘র নাম পাওয়া গেলেও তাঁর কোন পদ পাওয়া যায়নি। অবশিষ্ট পদকর্তারগণ ১টি করে পদ রচনা করেন।
#চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজ-দরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন। তাঁরই সম্পাদনায় ৪৭টি পদবিশিষ্ট পুথিখানি হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯১৬) নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রকাশিত হয়। তিনি পুথির সূচনায় একটি সংস্কৃত শ্লোক থেকে নামের যে ইঙ্গিত পান তাতে এটি চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয় নামেও পরিচিত হয়। তবে সংক্ষেপে এটি ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ বা ‘চর্যাপদ’ নামেই অভিহিত হয়ে থাকে। চর্যাপদের ভাষা অবিমিশ্র বাংলা নয়, কারণ চর্যার কবিগণ ছিলেন বিভিন্ন অঞ্চলের (যথা বাংলা, উড়িষ্যা, আসাম, বিহার)। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমা তখন নানাদিকে প্রসারিত ছিল। সেজন্য উড়িষ্যা, আসাম এমনকি বিহারের ভাষাদর্শও চর্যাপদে লক্ষ্য করা যায়। ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায় বাংলা, অসমিয়া ও উড়িয়া ভাষা পূর্ব ভারতের একই মূল কথ্য ভাষা থেকে উদ্ভূত হয়েছে। তাই বাঙালি, অসমিয়া ও উড়িষ্যাবাসী প্রত্যেকেই চর্যাপদের দাবিদার। তবে ‘বঙ্গাল দেশ’, ‘পঁউয়া খাল’ (পদ্মানদী), ‘বঙ্গালী ভইলি’ ইত্যাদির উল্লেখ থাকায় বাঙালির দাবি অগ্রগণ্যরূপে বিবেচিত হয়।
- দেলোয়ার হোসেন
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................