Home »
» #সৈয়দ_ওয়ালীউল্লাহ #উপন্যাস
#সৈয়দ_ওয়ালীউল্লাহ #উপন্যাস
By Admin নভেম্বর ২৮, ২০২০
#সৈয়দ_ওয়ালীউল্লাহ
#উপন্যাস
ভন্ড পীর মজিদ #লালসালু নিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে। অমাবস্যা( #চাঁদের অমাবস্যা) রাতে জুয়া খেলে অনেকে নিঃস্ব হয়ে কেঁদে কেঁদে বাড়ি (#কাদো_নদী_কাদো) ফেরে। আমিনাকে সে বিয়ে করে।
ধর্মব্যবসায়ী প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে পারেনা পাছে যদি নিজের মুখোশ খুলে যায়। যা #আগলী_এশিয়ান এর বাস্তব চিত্র।
#লালসালু: (১৯৪৮)
Tree without roots. নামে(Eng অনূদিত) চরিত্র: মজিদ, খালেক ব্যাপারী, জমিলা, রহিমা, আমেনা( বিদ্রহিনি প্রতিবাদের প্রতীক আমেনা)
#চাঁদের_অমাবস্যা:
উপন্যাসে আরেফ আলী নামে এক স্কুল মাস্টারের অবলম্বন করে মানুষের অন্তর জীবনের জটিলতা উল্লেখ প্রসঙ্গে সামন্ত সমাজ প্রভাবিত গ্রামীণ জীবনের নানা অসংগতি তুলে ধরেছেন শিক্ষামূলক উপন্যাস চাঁদের অমাবস্যা।
#কাঁদো_নদী_কাঁদো:
এ উপন্যাসে ধর্মের নামে আসার সর্বস্বতা বিজ্ঞানের নামে অদৃষ্টবাদী বাস্তবতার নামের স্বপ্ন কল্পনা ইত্যাদির বিরুদ্ধাচরণ দেখা যায় চরিত্র মোস্তফা, তবারক, খোদেজা, বদর শেখ, কালু মিয়া।
#গল্পগ্রন্থ
আমাদের #নয়ন_তারা য় এই বকধার্মিক ধর্মীয় ধোয়া তুলে ইহকাল ও পরকালে ভালো থাকার সুবিধা ইজারা দিয়ে তাদের #দুই_তীর_ও_অন্যান্য_প্রসঙ্গের গল্প আমাদের গেলায়।
#নাট্যগ্রন্থ
নদীর তরঙ্গে মাজারের #সুড়ঙ্গ ভঙ্গ হয়( #তরঙ্গভঙ্গ) উজানের জলে (#উজানে মৃত্যু) ভণ্ডপীরের (#বহি:পীর) মৃত্যু হয়।
#সুরঙ্গ
#তরঙ্গভঙ্গ
#উজানে মৃত্যু
#বহি:পীর
ড. আশরাফ পিন্টু
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ (জন্ম; ১৫ আগস্ট, ১৯২২-মৃত্যু: ১০ অক্টোবর, ১৯৭১) যেমন একজন শক্তিশালী কথাসাহিত্যিক তেমনি একজন সার্থক নাট্যকার। তাঁর কথাসাহিত্যের চেয়ে নাটকের প্রচার বা আলোচনা অত্যন্ত কম। তিনি ‘বহিপীর’, ‘তরঙ্গভঙ্গ’, ‘সুড়ঙ্গ’ ও ‘উজানে মৃত্যু’ নামে ৪টি নাটক লিখেছেন। এরমধ্যে শ্রেষ্ঠতর নাটক হলো ‘বহিপীর’ ও ‘তরঙ্গভঙ্গ’। অন্য দুটি নাটকের মধ্যে ‘সুড়ঙ্গ’ হলো শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত এবং ‘উজানে মৃত্যু’ অপ্রকাশিত নাটক। এখন আমরা ‘বহিপীর’ ও ‘তরঙ্গভঙ্গ’ নাটক দুটি নিয়ে আলোকপাত করব।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পূর্বে বাংলাদেশে যে সকল নাটক রচিত হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই ঐতিহাসিক নাটক। ১৯৪৭-এর দেশভাগের পর মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে এসব নাটক রচিত হয়। এসব নাটকে বৈশ্বিক চিন্তা-চেতনা বা নিরীক্ষাধর্মিতা নেই বললেই চলে। এগুলো দর্শক-মনোরঞ্জন যোগালেও গতানুগতিক ও একপেশে হওয়ার কারণে শৈল্পিকতাও ক্ষুণ্ন হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ-ই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সর্ব প্রথম নিরীক্ষাধর্মী নাটক লেখেন। তাঁর প্রথম নাটক ‘বহিপীর’ (১৯৬০) দিয়েই এর যাত্রা শুরু হয়।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘লালসালু’ (১৯৪৮)-এর মতোই প্রথম নাটক ‘বহিপীর’-এও মুসলিমসমাজ দেহের একটি রোগাক্রান্ত অংশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। বাঙালী মুসলিম সমাজে এসব ভ-পীর, ফকির ও মোল্লার দৌরাত্ম্য যে কী দুঃসহ পর্যায়ে পৌঁছেছে তা দেখা যায় তার ‘লালসালু’ উপন্যাসের মতো ‘বহিপীর’ নাটকেও। এর পূর্বে অবশ্য কাজী ইমদাদুল হকের ‘আব্দুল্লাহ’ উপন্যাসে এবং আবুল মনসুর আহমদের ‘হুজুর কেবলা’ গল্পে ভ-পীরদের স্বরূপ উন্মোচন আমরা দেখেছি।
‘বহিপীর’ নাটকটি স্বল্পায়তনের। চরিত্রও মাত্র ৬টি। নাটকটির কাহিনী বা ঘটনার সময়কাল মাত্র একদিন। বলাচলে সবদিক দিয়েই নাটকটি ক্ষুদ্রতাই প্রকাশ করে। তবে এই ক্ষুদ্রতার মধ্যে আমরা বৃহদায়তনের ছায়াদেখি; দেখি ছোটগল্পের মতো ‘বিন্দুর মধ্যে সিন্ধুর প্রতিফলন’। জেমস জয়েস বা ভার্জিনিয়া উলফ যেমন একদিনের মধ্যে মহাকাব্যিক বিস্তৃতি আবিষ্কার করেছিলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ‘বহিপীর’-এ তেমনটিই যেন নিরীক্ষণ করেছেন।
জমিদার হাতেম আলি বজরা নৌকায় বেরিয়েছেন স্ত্রী খোদেজা ও পুত্র হাশেমকে নিয়ে। ঝড়ের কারণে বজরা তাড়াতাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় আরেকটি বজরার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সে বজরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওখান থেকে একজন পীর সাহেব হাতেম আলির বজরায় আশ্রয় নেন; এই পীরই হলেন বহিপীর। বৃদ্ধ এবং বিপত্নীক এই পীর তাঁর একজন মুরিদের তরুণী কন্যাকে বিয়ে করেন। ভক্ত মুরিদও সওয়াব কামাতে মেয়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে বিয়ে দেয়। এমতাবস্থায় বিয়ের রাত্রিতেই মেয়েটি পলায়ন করে। ঘটনাক্রমে সেই তরুণী তাহেরা আশ্রয় নেয় হাতেম আলির বজরায়। বহিপীর জানে না তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী তাহেরা এই একই বজরায় আছে। তিনি তাহেরাকে খুঁজতে থাকেন। আর তাহেরাও বহিপীরের হাত থেকে বাঁচতে চায়। ওদিকে হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠবে সে চিন্তায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। বহিপীর একপর্যায়ে জানতে পারেন তার স্ত্রী তাহেরা এই বজরাতেই আছে। বহিপীরের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাহেরাকে তার সঙ্গে নিতে পারেন না; বরং তাহেরা হাশেমের হাত ধরে চলে যায়। বহিপীরের ব্যবস্থাপনায় হাতেম আলির জমিদারিও রক্ষা পাবেÑ এমন ইতিবাচক আভাস দিয়ে নাটকটি শেষ হয়।
পীরের আইন সম্মত স্ত্রী তাহেরাকে নিয়ে হাশেম তাঁর চোখের সামনে দিয়ে চলে যায় তবু অসহায় পীরের কোন ক্রোধ প্রকাশ পায় না। বরং তাঁর মুখে শোনা যায় যেন শান্তির বাণীÑ ‘তাহেরা গিয়েছে, যাক। তাহেরা তো আগুনে ঝাঁপাইয়া পড়িয়া যাইতেছে না। তাহেরা নতুন জীবনের পথে যাইতেছে।’
এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে যেন ‘নতুন জীবনের জয়ধ্বনি’ এবং ‘পুরাতন দুনিয়ার’ পরাজয় হয়েছে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’ উপন্যাসের শেষ পরিণতি যেন ‘বহিপীর’ নাটকে সংযোজিত হয়েছে। ‘লালসালু’ ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত হলেও রচিত হয়েছিল ১৯৪০ সালের শেষ দিকে। তখন ভ-পীর-ফকির ও মুসলিম পুরোহিতদের ছিল দোর্দ- প্রতাপ। তাই ওখানে দেখা যায় মোদাব্বের মিঞার ছেলে আক্কাস গ্রামে স্কুল খুলতে পারে না। বরং মজিদ আক্কাসকে স্তব্ধ করতে গ্রামে বিচার-সালিশ বসায়। উপন্যাসের শেষে দেখা যায় খলচরিত্র ভ- মজিদের কোন শাস্তি হয় না এবং ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলে গ্রামের সাধারণ কৃষকরা মজিদকে দেখে বলে ‘সবই তো গেল, এইবার নিজে বা খামু কি, পোলাপানদেরই বা দিমু কি?’
শুনে মজিদ কঠিন কণ্ঠে বলে, ‘নাফরমানি করিও না। খোদার উপর তোয়াক্কল রাখ।’
এরপর আর কারও মুখ দিয়ে কথা বেরয় না। কিন্তু ‘বহিপীর’-এ দেখা যায় এর উল্টোটা। কারণ ‘বহিপীর’ রচিত হয়েছিল ১৯৫০-এর মাঝা
/
বিজয় কুমার
Related Posts:
বিসিএস ভাইভাতে কেন ফেইল করানো হয়?বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি ব… Read More
বিগত ভাইভার একটি প্রশ্ন অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র এমন কোনো ঘটনা বলুন যা আপনাকে আলোড়িত করেছে?বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি ব… Read More
বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন প্রশ… Read More
Common Sense of Vivaবিসিএস ভাইভা প্রস্তুতি Common… Read More
অক্টোবর বিপ্লবকে কেন নভেম্বর বিপ্লব বলা হয়?অক্টোবর বিপ্লবকে কেন নভে… Read More
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................