বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন

বিসিএস ভাইভা প্রশ্ন
প্রশ্নঃ বঙ্গবন্ধু কেন মুষ্টি চাল তুলতেন?
উত্তরঃ অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে-
১৯৩৭ সালে আবার আমি লেখাপড়া শুরু করলাম। এবার আর পুরনো স্কুলে পড়ব না, কারণ আমার সহপাঠীরা আমার পেছনে ফেলে গেছে। আমার আব্বা আমাকে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। আমার আব্বাও আবার গোপালগঞ্জে ফিরে এলেন। এই সময় আব্বা কাজী আবদুল হামিদ এমএসসি মাস্টার সাহেবকে আমাকে পড়ানোর জন্য বাসায় রাখলেন। তার জন্যে একটা আলাদা ঘরও করে দিলেন। গোপালগঞ্জের বাড়িটা আমার আব্বাই করেছিলেন। মাস্টার সাহেব গোপালগঞ্জে একটা ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ গঠন করেন, যার দ্বারা গরিব ছেলেদের সাহায্য করতেন। মুষ্টি ভিক্ষার চাল উঠাতেন সকল মুসলমান বাড়ি থেকে। প্রত্যেক রবিবার আমরা থলি নিয়ে বাড়ি বাড়ি চাউল উঠিয়ে আনতাম এবং চাল বিক্রি করে তিনি গরিব ছেলেদের বই এবং পরিক্ষার ও অন্যান্য খরচ দিতেন। ঘুরে ঘুরে জায়গিরও ঠিক করে দিতেন। আমাকেই অনেক কাজ করতে হত তার সাথে। হঠাৎ যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। তখন আমি এই সেবা সমিতির ভার নেই এবং অনেক দিন পরিচালনা করি। আর একজন মুসলমান মাস্টারের কাছেই টাকা পয়সা জমা করা হত। তিনি সভাপতি ছিলেন আর আমি ছিলাম সম্পাদক। যদি কোন মুসলমান চাউল না দিত আমরা দলবল নিয়ে তার উপর জোর করতাম। দরকার হলে রাতে তার বাড়িতে ইট মারা হত। এজন্য আমার আব্বার কাছে অনেক সময় শাস্তি পেতে হত। আমার আব্বা আমাকে বাধা দিতেন না
শেখ মুজিবুর রহমান কি চাকরী করতেন?
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শেখ মুজিবুর রহমান কে টি-বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করেন। তার অফিস ছিল সেগুনবাগিচায়, ১৯৫৭ সালের জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ৭ই অক্টোবার পর্যন্ত তিনি এই পদে বহাল ছিলেন।
এছাড়াও, “আলফা ইন্সুরেন্স কোম্পানি”-র মালিক ইউসুফ হারুন তার কোম্পানির ঢাকা অফিসে শেখ মুজিবুর রহমান কে ১৫০০ টাকা বেতনে ম্যানেজার পদে চাকরী দেন।

Categories: ৫. ভাইভা বোর্ড থেকে