Home »
» বিসিএস প্রিলিতে হয়নি? প্ল্যান বি ঠিক করুন!
বিসিএস প্রিলিতে হয়নি? প্ল্যান বি ঠিক করুন!
By ─────────────── আগস্ট ১১, ২০২১
বিসিএস প্রিলিতে হয়নি? প্ল্যান বি ঠিক করুন!
নাজিরুল ইসলাম নাদিম, ৩৮তম বিসিএস (কর)
৪১তম বিসিএসে ক্যাডার পোস্ট আছে ২,১৩৫টি। ধরে নিলাম, এই বিসিএস ক্যাডার নিয়োগের পর নন-ক্যাডারে প্রথম শ্রেণি পাবেন আরো ১৫০০ জন। এর মানে, প্রিলি পাস করা ২১,০৫৬ জন মেধাবী প্রার্থী থেকে প্রথম শ্রেণির (ক্যাডার ও নন-ক্যাডার) চাকরি পাবেন মাত্র ৩,৫০০ জন।
যাঁরা এই প্রিলিতে ফেল করেছেন, তাঁদেরও কিন্তু অনেক প্রাপ্তি আছে! যেমন এই প্রিলিতে অংশ নিতে গিয়ে প্রস্তুতির অনেকখানিই নেওয়া হয়ে গেছে। আপনি চাইলে এই প্রস্তুতিকে পুঁজি করে ব্যাংক বা অন্য কোনো চাকরির জন্য আরো গোছানো ও পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির পড়াশোনা শুরু করে দিতে পারেন। এমনও হতে পারে, ৪১তম বিসিএসে যাঁরা টিকেছেন ও পরে চাকরি পাবেন, তাঁদের অনেক আগেই আপনি মনমতো একটি চাকরি পেয়ে যেতে পারেন! এ ছাড়া আপনার প্রস্তুতি পূর্ণাঙ্গ হলে পরবর্তী বিসিএসের প্রিলিতেও ১৩০+ নম্বর নিয়ে টেকা কঠিন হবে না।
তাই মন খারাপ না করে বরং নিজেকে তৈরি করুন। এখন যা যা করতে পারেন—
১. সবাই বিসিএস ক্যাডার হবে না, এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে প্ল্যান বি-সি-ডিতে মনোনিবেশ করুন। বিসিএস প্রিলির জন্য আপনার মোটামুটি প্রস্তুতি নেওয়া আছে, এর সঙ্গে যদি এখন গণিত ও ইংরেজির ওপর জোর প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার ব্যাংক প্রস্তুতিও হয়ে যাবে। আর যদি আপনার বয়স শেষের দিকে (৩০-এর কাছাকাছি) থাকে এবং প্রথম শ্রেণির চাকরির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস না থাকে, তাহলে দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণির চাকরি বা বেসরকারি চাকরিসহ সম্ভাব্য যেকোনো চাকরির চেষ্টা করতে থাকুন। সেই প্ল্যান অনুযায়ী এগোতে থাকুন।
২. ব্যাংক, বিসিএসসহ যেকোনো চাকরির লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতিতে জোর দিন। লিখিত পরীক্ষার জন্য রাইটিং স্কিল বাড়াতে হবে। প্রতিদিন খাতায় বিভিন্ন টপিকের ওপর লেখার অভ্যাস করতে পারেন। অনুবাদে লম্বা সময় দিন। যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় অনুবাদে প্রচুর নম্বর বরাদ্দ থাকে। খাতায় লিখে প্রতিদিন অনুবাদ করার চেষ্টা করুন। অনুবাদ শিখলে আপনার ভোকাবুলারি সমৃদ্ধ হবে, ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং স্কিল বাড়বে। আর অনুবাদে ভালো তো করবেনই।
দরকারি বিভিন্ন টপিকের ওপর তথ্য সংগ্রহ করে (পত্রিকা, বই, অনলাইন থেকে) খাতায় নোট করে রাখুন। ধরুন, আপনি পরিবেশ নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। গুগলে ‘পরিবেশ’ লিখে সার্চ দিলে হাজার হাজার তথ্য পাবেন। এভাবে টপিকওয়াইজ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নাট করে রাখতে পারেন। এসব তথ্য যেকোনো চাকরির পরীক্ষায় কাজে আসবে।
৩. নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করুন। কোন বিষয়টিতে দুর্বলতার কারণে পরীক্ষায় পিছিয়ে যাচ্ছেন, তা শনাক্ত করে করণীয় ঠিক করুন। যদি গণিতে দুর্বলতা থাকে, তাহলে এখন থেকে প্রতিদিন নির্ধারিতসংখ্যক অঙ্ক করার টার্গেট নিন। যদি ইংলিশে দুর্বল থাকেন প্রতিদিন একটি টপিক ধরে পড়া শেষ করুন। যদি সাধারণ জ্ঞানের তথ্য মনে না থাকে, প্রতিদিন বারবার পড়ার চেষ্টা করুন। প্রিলিতে যে অংশগুলোতে খারাপ করেছেন, সেগুলোও ঝালাই করে নিন।
৪. একটা টার্গেট ঠিক করুন, আগামী এক মাসে কোন পড়াটা কতদূর এগিয়ে নিতে চান। কত ঘণ্টা পড়েছেন, সেদিকে নজর না দিয়ে কতটুকু পড়েছেন, তা হিসাব করুন।
দৈনিক কালের কন্ঠ, ৭ আগষ্ট ২০২১
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................