#নদ’ আর ‘নদী’ এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য কি?
এই প্রশ্ন করা হলে বেশির ভাগ লোকই এই উত্তরটা দেন—নদীর শাখা আছে, নদের শাখা থাকে না। অবাক করার মতো হলেও তথ্যটা সত্যি, আমাদের মাঝে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ নদ-নদীর পার্থক্য জানেন না। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও লেখা আছে:
‘যে জলস্রোত কোনো পর্বত, হ্রদ, প্রস্রবণ ইত্যাদি জলাধার হতে উৎপন্ন ও বিভিন্ন জনপদের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোনো জলাশয়ে পতিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমন মেঘনা, যমুনা, কুশিয়ারা ইত্যাদি। যখন কোনো নদী হতে কোনো শাখা নদীর সৃষ্টি হয় না, তখন তাকে বলা হয় নদ। যেমন কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল নদ ইত্যাদি নদ। সুরমা, গঙ্গা, বুড়িগঙ্গা ইত্যাদি নদী।’
জলধারার এ রকম লিঙ্গ বিভাজন পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সম্ভবত নেই। একমাত্র উপমহাদেশের সংস্কৃতিতেই জলধারার লিঙ্গ বিভাজন রয়েছে। ভারতীয় চৈতন্যে ব্রহ্মপুত্র নদ, কিন্তু গঙ্গা নদী।
তাহলে কী ব্রহ্মপুত্রের কি শাখা নেই? শীতলক্ষ্যা, যমুনা এগুলো তাহলে কোনো নদীর শাখা? শীতলক্ষ্যা, যমুনা যদি ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হয় তাহলে সংজ্ঞানুসারে ব্রহ্মপুত্র তো নদী হওয়ার কোথা, একে আমরা নদ বলি কেন?
প্রকৃতপক্ষে নদ ও নদীর সঙ্গে শাখা থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দুয়ের মাঝে যা পার্থক্য আছে তা হলো ব্যাকরণগত।
আমি সহজে বুঝানোর চেষ্টা করছি পার্থক্যটা কি এবং কিভাবে বুঝবেন কোনগুলা নদ আর কোনগুলা নদী।
নদ হচ্ছে পুরুষবাচক শব্দ আর নদী হচ্ছে স্ত্রীবাচক শব্দ।
যেসব নদ/নদী এর নামের শেষে শুধু 'অ' কার আছে অথবা কোন কার নেই সেগুলো হচ্ছে নদ। যেমনঃ কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল নদ ইত্যাদি নদ। দেখবেন এই নামগুলা উচ্চারণের সময় শেষে 'অ' কার উচ্চারণ হয়, ব্রহ্মপুত্র+অ, কপোতাক্ষ+অ, নীল এর শেষে কোন কার নেই।
আবার যেগুলোর নামের শেষে 'আ,ই,ঈ ইত্যাদি কার আছে সেগুলা নদী। যেমনঃ সুরমা, গঙ্গা, বুড়িগঙ্গা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী ইত্যাদি নদী। সুরম + আ, গঙ্গ + আ, কর্ণফুল + ঈ ইত্যাদি।
নদ vs নদী
By ─────────────── সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................