Home »
» What is Iron Dome? ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম কী ?
What is Iron Dome? ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম কী ?
By ─────────────── জুলাই ১৮, ২০২১
Iron Dome (আয়রন ডোম ) কী ?
এটি একটি বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্প দূরত্বের পাল্লার, মাটি থেকে আকাশ পর্যন্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে একটি রাডারও রয়েছে। এর পাশাপাশি তামির ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম যা যে কোনও রকেটকে ট্র্যাক করে সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। ইজরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা-মর্টার এমনকী বিমান-হেলিকপ্টার এবং যে কোনও ধরনের ড্রোন জাতীয় জিনিসকে প্রতিহত করতে পারে এই আযরন ডোম।
২০০৬ সালে ইজরায়েল-লেবানন যুদ্ধের সময় যখন লেবানিজ জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হাজার হাজার রকেট ইজরায়েল লক্ষ্য করে চালায় তারপরই এই আয়রন ডোমের নির্মাণ হয়। পরের বছর ইজরায়েল ঘোষণা করে, সরকারি মদতপুষ্ট রাফায়েল অ্যাডভান্স সিস্টেম একটা নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করবে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য। ইজরায়েলের এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি এটি নির্মাণে সহযোগিতা করে। ২০১১ সালে আয়রন ডোমের পত্তন হয়। রাফায়েলের দাবি, এই ডোম ৯০ শতাংশ কার্যকরী। ২ হাজারেরও বেশি হামলা প্রতিহত করেছে।
কীভাবে এটি শত্রুর হামলা প্রতিহত করে?
এই আয়রন ডোমের তিনটি প্রধান সিস্টেম রয়েছে। একত্রিত হয়ে এটি একটি রক্ষাকবচে তৈরি করে গোটা এলাকায়। রাডারের মাধ্যমে ধেয়ে আসা যে কোনও হামলাকে চিহ্নিত করে। এরপর উইপন কন্ট্রোল সিস্টেম এবং মিসাইল ফায়ারিং ইউনিট হামলা প্রতিহত করে। যে কোনও আবহাওয়ায়, দিন হোক রাত, এই আয়রন ডোম সম্পূর্ণ কার্যকর
এই Iron Dome–এর খরচ কত?
গোটা ইউনিটের খরচ পড়তে পারে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৬৬ কোটি টাকা। একটি তামির ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের খরচ অন্তত ৫৯ লক্ষ টাকা। যেখানে একটি সাধারণ রকেটের দাম মাত্র ১ হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। এই সিস্টেমে দুটি তামির মিসাইল এক একটি রকেটকে প্রতিহত করে।
ইসরায়েলকে রক্ষা করছে ‘আয়রন ডোম’
ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থার নাম ‘আয়রন ডোম’৷ গাজার সঙ্গে সে দেশের চলমান সংঘাতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এ ব্যবস্থা৷ ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হামাসের ক্ষেপণাস্ত্র বা রকেট আকাশেই ধ্বংস করছে এই আয়রন ডোম৷
হামাস এবং বিভিন্ন কট্টরপন্থী গোষ্ঠী গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছুড়ছে আর তা আকাশেই বিধ্বস্ত হচ্ছে – এরকম ভিডিও চিত্র অনেকেই দেখেছেন ইতিমধ্যে৷ গত কয়েকদিনে গাজা থেকে কয়েকশত রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্য করে৷ আর সে সবের অধিকাংশই প্রতিরোধ করেছে আয়রন ডোম৷ সর্বশেষ গাজা সংকট শুরুর পর প্রথম তিন দিনে ২৪৫টি রকেট ধ্বংস করেছে আয়রন ডোম। উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের রাষ্ট্র পরিচালিত প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস' তৈরি করেছে এই আয়রন ডোম৷ উদ্দেশ্য হচ্ছে, ৪ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে শত্রুপক্ষের ছোড়া রকেট এবং গোলা যাত্রাপথেই ধ্বংস করে দেওয়া৷ পুরো প্রক্রিয়াটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত৷ ফলে এই ব্যবস্থার আওতায় কোনো রকেট ধরা পড়লেই সেটিকে ধ্বংস করতে স্বয়ংক্রয়ভাবেই পাল্টা গোলা ছোড়ে আয়রন ডোম৷ তবে এর সাফল্যের মাত্রা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত৷ ফলে কিছু রকেট গন্তব্যে পৌঁছে যাচ্ছে৷
আয়রন ডোম প্রথম সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করে গত বছর৷ সে বছরের এপ্রিল মাসে গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দেয় এই আয়রন ডোম৷ আর সর্বশেষ গাজা সংকট শুরুর পর প্রথম তিন দিনে ২৪৫টি রকেট ধ্বংস করেছে এই ব্যবস্থা৷ হামাসের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র এখন পৌঁছে যাচ্ছে ইসরায়েলের তেল আভিভ অবধি৷ আকাশপথেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে তাই তেল আভিভেও কাজ শুরু করেছে আয়রন ডোম৷ ইতিমধ্যে সেখানকার আকাশসীমায় পৌঁছানো একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসও করেছে এই ব্যবস্থা৷ বিবিসি জানিয়েছে, আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল৷ ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত পাঁচটি আয়রন ডোম ব্যাটারি সক্রিয় রয়েছে৷ আগামী বছরের মধ্যে আরো আটটি এ ধরনের ব্যাটারি সক্রিয় করতে চলেছে দেশটি৷ জানা গেছে, একেকটি ব্যাটারি স্থাপনে খরচ প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ আর একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে এই ব্যবস্থায় খরচ হয় মোটামুটি ৬০ হাজার মার্কিন ডলার
অবশ্য এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নির্মাতা দাবি করছেন, আয়রন ডোম ব্যয় সাশ্রয়ী৷ কেননা, এই ব্যবস্থা প্রথমে নির্ধারণ করে শত্রুপক্ষের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি কোথায় গিয়ে পড়তে পারে, জনবসতিপূর্ণ কোনো অঞ্চলে নাকি মনুষ্যবিহীন মরুভূমি বা পানিতে? যখন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, শুধুমাত্র তখনই সক্রিয় হয় এই আয়রন ডোম৷
Collected
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................