রক্ষীবাহিনী কি?? রক্ষীবাহিনী গঠনকে সমর্থন করেন কি না?
রক্ষীবাহিনীঃ
নিয়মিত আধা-সামরিক বাহিনী যা নব্যপ্রতিষ্ঠ বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে রক্ষীবাহিনী আইন ১৯৭২ দ্বারা গঠন করা হয়। শুরুতে মুজিব বাহিনী ও কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে এই বাহিনীর পত্তন করা হয়। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এই বাহিনীর সদরদপ্তর স্থাপন করা হয়। ক্যাপ্টেন এ. এন. এম. নূরুজ্জামানকে রক্ষীবাহিনীর প্রধান করা হয়। আনুষ্ঠানিক নাম জাতীয় রক্ষীবাহিনী হলেও সাধারণত এই বাহিনীকে রক্ষীবাহিনী বা সংক্ষেপে জেআরবি (JRB) বলে অভিহিত হতো।
ভূমিকাঃ
বিদ্রোহ দমন, সন্ত্রাসবাদ দমন,সাম্যবাদ বিরোধী ভূমিকা।
সদর দপ্তর
শেরেবাংলা নগর, ঢাকা
পৃষ্ঠপোষক
শেখ মুজিবুর রহমান
মাস্কট
শেখ মুজিবুর রহমানের তর্জনী
বিযুক্ত
রক্ষীবাহিনী গঠনের যৌক্তিকতাঃ
স্বাধীনতার পরপরই এদেশে গুটিকয়েক কর্মী অস্ত্র জমা না দিয়ে চীনের কমিউনিস্ট ধাচের সরকার গঠনের জন্য উঠে পড়ে লাগে।তারা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে দেশকে অস্বস্তিশীল করার চেষ্টা চালায়। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়। শেখ মুজিবুর তাই নিজস্ব চিন্তা দিয়ে মুক্তিবাহিনীর বহু সদস্য নিয়ে রক্ষীবাহিনী গঠন করেন।অনেকেই বলে থাকেন পুলিশ, সেনাবাহিনী থাকতে এদেরকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল!!
আমলাতান্ত্রিক বৃটিশ আইনের পুলিশ দিয়ে একাজ হতো না,বিডিআর কে দিয়ে হয়ত হতো কিন্তু তারা সংখ্যায় কম থাকায় সীমান্ত পাহারা দিতেই হিমসিম খাচ্ছিল।
সেনাবাহিনী দিয়ে একাজ করা বোকামি ছিল কারণ সেনাবাহিনী নিয়মিত সামরিক বাহিনী দেশরক্ষা বাদ দিয়ে পুলিশী কায়দায় জনগণের সাথে সংঘাত করে অস্ত্র উদ্ধার মোটোও ঠিক হতো না।
তাছাড়া পাকিস্তানে ২০ - ৩০ হাজার সামরিক সৈন্য আটক থাকায় অন্য বাহিনী গুলোতে জনবল স্বল্পতা দেখা দেয়। তাই দেশ রক্ষার স্বার্থে তখন রক্ষীবাহিনী গঠন যৌক্তিক ছিল বলে মনে করি। অনেকেই আবার রক্ষীবাহিনীকে মুজিবের একমাত্র বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে যা মোটেও সমীচীন নয়।যদি তাই হতো তাহলে নিজের বাসভবন ও বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সেনাবাহিনীর সদস্য রাখতেন না।বাকশাল গঠনের মতোই রক্ষীবাহিনী গঠন ছিল বাংলাদেশকে রক্ষার চেষ্টা।
লেখাঃ হিরাত উদ্দিন
উৎসঃ অনলাইন ব্লগ,উইকিপিডিয়া
