স্টাডি প্লান-০৯-বাংলাদেশ বিষয়াবলী(মুহম্মদ শামীম কিবরিয়া sir প্রদত্ত)[৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতা ঘোষণা}এর জন্য সহায়ক নোট...
<আগামীকাল এই পোস্টের বাকি অংশের এবং অন্যান্য বিষয়ের নোট দেওয়া হবে ...স্টাডি প্ল্যান গুলোর সব নোট আমার ফেসবুক ID তে পাবেন.>
#সাতই মার্চের ভাষণ
সাতই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ।
তিনি উক্ত ভাষণ বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে শেষ করেন। উক্ত ভাষণ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়। এই ভাষণে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) বাঙালিদেরকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান। এই ভাষণের একটি লিখিত ভাষ্য অচিরেই বিতরণ করা হয়েছিল। এটি তাজউদ্দীন আহমদ কর্তৃক কিছু পরিমার্জিত হয়েছিল। পরিমার্জনার মূল উদ্দেশ্য ছিল সামরিক আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবীটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা।১২টি ভাষায় ভাষণটি অনুবাদ করা হয়৷ নিউজউইক ম্যাগাজিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়
2] তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই পটভূমিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বিপুল সংখ্যক লোক একত্রিত হয়; পুরো ময়দান পরিণত হয় এক জনসমুদ্রে। এই জনতা এবং সার্বিকভাবে সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণটি প্রদান করেন।
3] তিনি ভাষণে কয়েকটি দিক নিয়ে আলোচনা করেন:
>>সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা
>>পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিকদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত;
>>সামরিক আইন প্রত্যাহারেরদাবি জানানো;
>>অত্যাচার ও সামরিক আগ্রসন মোকাবিলার জন্য বাঙালিদের আহ্বান জানানো;
>>দাবী আদায় না-হওয়া পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে সার্বিক হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান ;
>>নিগ্রহ ও আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান এবং বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করা।
4] জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস ২০১৯ সালের জুন মাসে শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ভাষণটি জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছে। পূর্বে ভাষণটি ইংরেজি ভাষায় অনূদিত হলেও বিদেশি ভাষা হিসেবে জাপানি ভাষায় প্রথম অনূদিত হয়।
source: https://bn.wikipedia.org/wiki/সাতই_মার্চের_ভাষণ
★ তারিখ: ৭ই মার্চ ১৯৭১ সাল(রবিবার)।
★ শুরুর :২টা ৪৫ মিনিটে।
★ স্থান : তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান, ঢাকা।
★ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ভিডিও রেকর্ড করেন,
" এম আবুল খায়ের" ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পাকিস্তান
ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম কর্পোরেশন। তিনি এ ভাষণটি
রেকর্ড করার জন্য ২০১৪ সালে মরণোত্তর স্বাধীনতা
দিবস পদক লাভ করেন।
>>>তাদের সঙ্গে তথকালীন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রযুক্তিবিদ এইচ এন খোন্দকার ভাষণের অডিও রেকর্ড করেন.
>>>>ডিও রেকর্ডটি এম আবুল খায়েরের মালিকানাধীন রেকর্ড লেবেল ঢাকা রেকর্ড বিকশিত এবং আর্কাইভ করা হয়। পরে, অডিও ও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের একটি অনুলিপি শেখ মুজিবকে হস্তান্তর করা হয় এবং অডিওর একটি অনুলিপি ভারতে পাঠানো হয়। সেইসাথে অডিওর ৩০০০ অনুলিপি করে তা সারা বিশ্বে ভারতীয় রেকর্ড লেবেল এইচএমভি রেকর্ডস দ্বারা বিতরণ করা হয়।
★ ভাষণের স্থায়িত্ব : ১৯ মিনিট/১৮ মিনিট।
★মোট শব্দ : ১১০৫টি
★ ভাষণটি অনূদিত হয়েছে :১২ টি ভাষায়।
★ মাইকের নাম-"কল রেডি"।
>>>আব্রাহাম লিংকনের Gettysburg Address-এর শব্দ সংখ্যা ২৭২, সময় ৩ মিনিটের কম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের সময় ১৮ মিনিট, শব্দ সংখ্যা ১১০৫; অপরদিকে মার্টিন লুথার কিংয়ের ‘I have a dream' Address-এর সময় ছিল ১৭ মিনিট, শব্দ সংখ্যা ১৬৬৭।
★ ভাষণে উপস্থাপন করা হয় : ৪ দফা দাবি।
★ দাবি ৪ টি হলো:
১. সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
২. সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
৩. এই গণহত্যার তদন্ত করতে হবে।
৪. নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নিকট ক্ষমতা
হস্তান্তর করতে হবে
★ মূল বক্তব্য: "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার
সংগ্রাম"।
★উল্লেখযোগ্য অংশ : "রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও
দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো
ইনশাল্লাহ"।
★এই সময় ৩ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলন
চলছিলো।
★ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO এই ভাষণকে
Memory of the World Register এর অন্তর্ভুক্ত
করে।
- ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক পরামর্শক কমিটি (IAC)
১৩০টি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল, নথি ও
বক্তৃতার মধ্যে ৭৮টি বিষয়কে নির্বাচিত করে,
★ প্যারিসে ইউনেস্কো কার্যালয়ে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা
দেন মহাপরিচালক ইরিনা বেকোভা।
★ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ডের ভাষণ
সংকলন "The Speech the Inspired History"
এ বিশ্বের সেরা ৪১টি ভাষণের মধ্য স্থান পেয়েছে ৭ই
মার্চের ভাষণ।
★ জ্যাকবের বইয়ে ভাষণটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে
The Struggle : This Time is the Struggle for
Independence.
★বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ বক্তৃতার সাথে
তুলনা করা হয়
★"শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ কেবল
একটি ভাষণ নয়,এটি একটি অনন্য রণকৌশলের
দলিল" উক্তিটি করেছেন --কিউবার অবিসংবাদিত
নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো।
★ "৭ মার্চের ভাষণ আসলে ছিল স্বাধীনতার মূল
দলিল" উক্তিটি করেছেন--বর্ণবাদবিরোধী নেতা
নেলসন ম্যান্ডেলা।
★১৩ নভেম্বর ২০১৭-তে ঐতিহাসিক এ ভাষণের উপর
একটি বিশ্লেষণধর্মী বই "বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ:
রাজনীতির মহাকাব্য" শিরোনামে আইসিটি
মন্ত্রণালয় থেকে ই-বুক ও মোবাইল অ্যাপ হিসেবে
উদ্বোধন করা হয়।
source: https://www.jugantor.com/old/tutorial/2015/03/07/231011
_____________------------------
#স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
1] বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত একটি ঘোষণাপত্র। যতদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলেছে ততদিন মুজিবনগর সরকার পরিচালনার অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে এই ঘোষণাপত্র কার্যকর ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পরও এই ঘোষণাপত্র সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। ১৯৭২ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর তারিখে যখন দেশের নতুন সংবিধান প্রণীত হয় তখন সংবিধান হিসেবে এর কার্যকারিতার সমাপ্তি ঘটে।
source: https://bn.wikipedia.org/wiki/বাংলাদেশের_স্বাধীনতার_ঘোষণাপত্র
>>>২৬ মার্চ সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দ্বিতীয়বার এবং ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মেজর জিয়া কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা (৩য় বার) দেশের লাখো কোটি মানুষ শুনেছে।
>>>পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন ঘুমন্ত বাঙালি জাতির উপর ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা শুরু করে তখন ধানমণ্ডির ৩২ নং বাড়িতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করেন। ২৫ মার্চ রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন
>>>পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঐদিন রাত ১.৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধুকে ধানমন্ডির ৩২ নং বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যায় এবং এর তিন দিন পর তাঁকে বন্দী অবস্থায় পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।