আল করিম সাহিত্য বিশারদ (১৮৭১-১৯৫৩) সংগৃহীত পুঁথির সংখ্যা প্রায় ২ হাজার, যার প্রায় ১ হাজার পুঁথি বাঙালি মুসলমানের লেখা; তিনি আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ পুথি সম্পাদনা করেছেন।আরজ আলী মাতুব্বর (১৯০০-১৯৮৫) রচিত গ্রন্থ- সত্যের সন্ধান, সৃষ্টির রহস্য, অনুমান।আর জাফর শামসুদ্দীন এর ত্রয়ী উপন্যাস- ভাওয়ালগড়ের উপাখ্যান, পদ্মা মেঘনা যমুনা, সংকর সংকীর্তন।তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় এর ত্রয়ী উপন্যাস- পঞ্চগ্রাম, গণদেবতা, ধাত্রী দেবতা ।‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা আবদুল কাদির সম্পাদিত পত্রিকা- ‘মাহে নাও’ তার কাব্য- উত্তর বসন্ত, ছন্দ বিষয়ক গ্রন্থ ‘ছন্দ সমীক্ষা’।১৯ শতকের প্রথম মুসলিম লেখক- খন্দকার শামসুদ্দিন সিদ্দিকী।খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন রচিত উপন্যাস- অনাথিনী (প্রথম উপন্যাস), নয়া সড়ক; কাব্যগ্রন্থপালের নাও, আর্তনাদ, হে মানুষ; গল্পগ্রন্থ- ঝুমকোলতা।চন্দ্রকুমার দে সংগৃহীত: পালাগান- মহুয়া, মলুয়া, চন্দ্রাবতী, কমলা, দস্যু কেনারাম, দেওয়ানভাবনা, কঙ্কওলীলা, ধােপার পাট, রুপবতী, দেওয়ান মদিনা; এবং পূর্ববঙ্গীয় গীতিকা- মইষাল বন্ধু, ভেলুয়া, আয়না বিবি, পীর বাতাসী, কমলারনী, শিলাদেবী, জিবালনি, সােনারামের জন্ম।‘মানবজীবন’, ‘মহজীবন’ ও ‘উন্নতজীবন-প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা- ডা. মােঃ লুৎফর রহমান ‘আমি ভাল আছি, তুমি?’, ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ ও ‘নারকীয় ভুবনের কবিতা কাব্যগ্রন্থত্রয়ের কবি- দাউদ হায়দার।দীনেশ চন্দ্র সেন সম্পাদিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (১৮৯৬) বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ, তিনি মৈমনসিংহ গীতিকা সংগ্রাহক, সম্পাদক ও প্রকাশক। ‘রূপজালাল’ নামে আত্মজীবনী লিখেছিলেন- নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী ।নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড (২৫ মে, ১৭৫১-১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৬০) রচিত A Grammar of । the Bengal Language ইংরেজি ভাষায় রচিত বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ।প্রিন্সিপাল ইব্রাহীম খাঁ রচিত নাটক- আনােয়ার পাশা, কামাল পাশা, কাফেলা, ভিস্তি বাদশা, নিজাম ডাকাত; ভ্রমণকাহিনী- ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র, গল্পগ্রন্থ- সােনার শিকল ।
‘ময়নামতীর চর’ কাব্যটির রচয়িতা- বন্দে আলী মিয়া।মােহাম্মদ নজিবর রহমান সাহিত্যরত্নের প্রথম ও জনপ্রিয় উপন্যাস ‘আনােয়ারা’ (১৯১৪)।মুসলিম মধ্যবিত্তের তৎকালীন সমাজচিত্র ‘আনােয়ারা উপন্যাসের মূল উপজীব্য- ‘সতীর সর্বস্বপতি, সতী শুধু পতিময়, বিধাতার প্রেমরাজ্যে সতত সতীর জয়।‘শান্তিপুরের কবি’ মােজাম্মেল হক রচিত উপন্যাস- জোহরা, অনূদিত গ্রন্থ- শাহনামা, সম্পাদিত পত্রিকা- ‘মােসলেম ভারত’।‘বার্ট্রান্ড রাসেলের ভাবশিষ্য মােতাহের হােসেন চৌধুরীর প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘সংস্কৃতি কথা’ থেকে ।সংকলিত প্রবন্ধ- শিক্ষা ও মনুষ্যত’; ক্লাইভ বেলের ‘সিভিলাইজেশন’ এর তার অনূদিতগ্রস্থ সভ্যতা’, বাট্রান্ড রাসেলের কনকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস’র তার অনূদিতগ্রন্থ- ‘সুখ’ ।শামসুদ্দিন আবুল কালাম রচিত উপন্যাস- আলমগড়ের উপকথা, কাশবনের কন্যা, কাঞ্চনমালা, জায়মঙ্গল, কাঞ্চনগ্রাম, সমুদ্র বাসর; গল্প- অনেক দিনের আশা, ঢেউ, পথ জানা নাই, দুই হৃদয়ের তীর, শাহের বানু, পুই ডালিমের কাব্য।সাঈদ আহমেদ রচিত নাটক- কালবেলা, মাইলপােস্ট, প্রতিদিন একদিন; তার ‘তৃষ্ণায় নাটকটি ‘দ্য সারভাইবেল’ ইংরেজি নাটকের অনুবাদ; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনালােকে রচিত নাটক ‘শেষ নবাব’ তার শেষ নাটক।কখনাে উপন্যাস লেখেননি- ত্রিশের দশকের লিরিক কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত।আবােল-তাবােল, হ-য-ব-র-ল, বহুরূপী, পাগলা দাশু, খাই খাই গ্রন্থসমূহের রচয়িতা- সুকুমার রায়, তার পিতা- উপেন্দ্রকিশাের রায় চৌধুরী এবং পুত্র অস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়।আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক- স্বর্ণকুমারী দেবী, তার প্রথম উপন্যাসদীপ নির্বাণ; তিনি বালক’ নামে কিশাের পত্রিকা প্রকাশ করেন।
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মহাকাব্য ‘বৃত্রসংহার’, কাব্যের কাহিনী উৎস পৌরাণিক কাহিনী, মহাভারতের বনপর্ব উপাখ্যান। তার কাব্যগ্রন্থ- চিন্তা তরঙ্গিনী, বীরবাহু, কবিতাবলী, ছায়াময়ী, আশাকানন, দশমহাবিদ্যা, চিত্তবিকাশ।কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা- নীলমনি ঠাকুর।ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক চণ্ডীচরণ মুনশী ভগবদগীতা ছাড়াও ফারসি গ্রন্থ ‘তুতীনামা’ কে ‘তােতা ইতিহাস’ নামে বাংলায় অনুবাদ করেন।ত্রিশের দশকের কবি বুদ্ধদেব বসুর কাব্য- তিথিডাের ।পদ্মপুরাণ কাব্যের রচয়িতা নারায়ণ দেব- এর উপাধি ছিল ‘কবিবল্লভ’; তার নামে কালিকা পুরাণের একটি পুঁথি পাওয়া যায় ।ডক্টর নিহাররঞ্জন রায় (১৯০৩-১৯৮১) রচিত গ্রন্থ- বাঙালীর ইতিহাস, বাঙালী হিন্দুর বর্ণভেদ।বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক- পঞ্চানন কর্মকার (জন্ম তারিখ অজ্ঞাত – মৃত্যু- ১৮০৪) প্রভাতকুমার মুখােপাধ্যায় (১৮৭৩-১৯৩২) রচিত গল্পগ্রন্থ- গল্পাঞ্জলি, গল্পবীথি; বিখ্যাত গল্পরসময়ীর রসিকতা, বাস্তুসাপ, বলবান জামাতা, দেবী, আদরিণী, মাস্টার মশাই, ফুলের মূল্য; উপন্যাস- রত্নদ্বীপ (১৯১৫); ব্যঙ্গকাব্য- অভিশাপ।ছন্দ-পরিক্রমা, বাংলা ছন্দ সমীক্ষা, ছন্দ জিজ্ঞাসা, ছন্দ সােপান, বাংলা ছন্দচিন্তার ক্রমবিকাশপ্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা- প্রবােধচন্দ্র সেন।বেদুইন শমসের/শমসের আলী (১৯১৯-১৯৬৪) রচিত গ্রন্থ- রিকসাওয়ালা, বুড়িগঙ্গার বুকে, বেঈমান, দিশাহারা, কাটা ও ফুল, চাওয়া পাওয়া, তার ও ঝংকার।
মানকুমারী বসু রচিত কাব্য- কুসুমাঞ্জলি, কনকাঞ্জলি, বীরকুমারবধ; গদ্যপদ্য রচনা- প্রিয় প্রসঙ্গ বা হারানাে সময়; সনেট- পুরন্দরের প্রতি ইন্দুবালা ।মিসেস এম. রহমান রচিত উপন্যাস- মা ও মেয়ে; গল্প- চানাচুর ।মেহেরুন্নেসা (১৯৪৬-১৯৭১) রচিত ‘চাষী’ (শিশুতােষ) কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়- দৈনিক সংবাদ এর খেলাঘরের পাতায়।মােহাম্মদ আবদুল হাকিম রচিত উপন্যাস- পল্লী সংস্কার, বিষাদ লহরী, প্রতিশােধ, মিলন, প্রতিদান; কাব্য- কবিতা লহরী, জাতীয় লহরী।যতীন্দনাথ সেনগুপ্ত রচিত কাব্য- মরীচিকা, মরুশিখা, মরুমায়া, সায়ম, ত্রিযামা; সাহিত্যের রূপতত্ত্ব বিষয়ক গন্থ- কাব্যপরিমিতি।‘কান্ত কবি’ নামে পরিচিত রজনীকান্ত সেন রচিত কাব্য- বাণী, কল্যাণী, অমৃত, আনন্দময়ী, অভয়া, বিশ্রাম, সদ্ভাবকুসুম, শেষদান; “মায়ের দেয়া মােটা কাপড় মাথায় তুলে নেরে ভাই…”স্বদেশী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তার লেখা জনপ্রিয় গান, ” বুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই…” তার স্বাধীনতার সুখ’ কবিতার চরণ।শুকুর মাহমুদ (১৬৮০-১৭৫০) রচিত ‘গুপীচন্দ্রের সন্যাস’ গ্রন্থে বর্ণিত ত্রিপুরার রাজা পীচন্দ্রের সন্যাস এবং তাঁর রাণী ময়নামতির যােগসাধনার কাহিনী অবলম্বনে আঠালো শতকের গােড়ার দিকে এই ঐতিহাসিক কাহিনী কাব্য রচিত।বাংলা সাহিত্যের প্রথম আত্মজীবনীকার- রাসসুন্দরী দাসী; তার গ্রন্থের নাম- আমার জীবন ।শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দীন হােসেন (১৯২৯-১৯৭১) রচিত গ্রন্থ- ছােট থেকে বড়, মহিয়সী নারী, ইতিহাস কথা কও, The Days Decisive.
সােমেন চন্দ (১৯২০-১৯৪২) রচিত বিখ্যাত ছােটগল্প- ইদুর; গল্পগ্রন্থ- ‘সংকেত ও অন্যান্য গল্প’, ‘বনস্পতি ও অন্যান্য গল্প’।হুমায়ুন কাদির (১৯৩২-১৯৭৭) রচিত উপন্যাস- নির্জন মেঘ; ছােটগল্প- একগুচ্ছ গােলাপ ও কয়েকটি গল্প, আদিম অরণ্যে একরাত্রি, শীলার জন্যে সাধ, কোথায় পাব তারে ।সমরেশ বসু কালকূট ছদ্মনামে লিখেছেন- অমৃত কুম্ভের সন্ধানে।পরানের গহীণ ভিতর’ গ্রন্থের লেখক সৈয়দ শামসুল হক কিন্তু বুকের ভিতর আগুন’ গ্রন্থের রচয়িতা- জাহানারা ইমাম।Defence of Bengal নামে পরিচিত- প্যারীচাঁদ মিত্র, তার উপন্যাস- আধ্যাত্মিকা, আলালের ঘরের দুলাল (বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস)।‘সূর্য সাক্ষী’ গ্রন্থের রচয়িতা- পান্না কায়সার। ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল’ ও ‘পাকসার জমিন সাদবাদ’ উপন্যাসদ্বয়ের লেখক- হুমায়ুন আজাদ।