৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে অষ্টম স্থানঅধিকারী দিদারুল ইসলাম। তিনি বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। জানাচ্ছেন— এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
বি সিএস পরীক্ষায় ক্যাডার প্রাপ্তির জন্য ইংরেজি বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। লিখিত পরীক্ষায় অনেকেই ইংরেজিতে খারাপ করে বসে। অথচ এ বিষয়গুলোর পাশাপাশি ইংরেজিতে ভালো করতে পারলে ক্যাডার প্রাপ্তির পথ অনেকটাই সুগম হয়ে যায়। লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজির জন্য মোট ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। প্রথম পত্রে কমপ্রিহেনশন রিলেটেড ১০০ নম্বর এবং দ্বিতীয় পত্রে রচনা ও অনুবাদের জন্য ১০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। কমপ্রিহেনশন অংশে ভালো করতে চাইলে নিয়মিত ইংরেজি রিডিং পড়ার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বিভিন্ন ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে পরীক্ষার সময় তা অনেক কাজে দিবে। পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর প্রথমেই কমপ্রিহেনশন সম্পর্কিত দশটি প্রশ্নের ওপর দু একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।পরবর্তীতে রিডিং পড়া শেষে উত্তর করার সময় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পেতে আপনাকে গলদঘর্ম হতে হবে না। ঘাবড়ে না গিয়ে একটু মনোযোগ দিয়ে প্যাসেজটি পড়লেই এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। প্রথম পত্রে গ্রামারের ওপর ৩০ নম্বর বরাদ্দ থাকে।
বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় গ্রামার অংশে Parts of Speech, Countable & Uncountable Noun, Clauses, Phrases, Narration, Voice, Joining Sentence, Making sentence, Derivatives, Punctuation ওপর বেশিরভাগ প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। ব্যাকরণের এ বিষয়গুলো নিয়মিত চর্চার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপরও সম্যক ধারণা রাখতে হবে। প্রথম পত্রের বাকী ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকে সামারি ও লেটার টু দ্য এডিটরের ওপর। বাসায় বসে রিডিং পড়ার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে ইংরেজি প্যাসেজের সামারি লেখার অভ্যাস করতে পারলে লিখিত পরীক্ষায় সামারি লেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে। লেটার টু দ্য এডিটর সাধারণত কমপ্রিহেনশন সম্পর্কিত কোনো টপিকের ওপর লিখতে বলা হয়। এটা লেখার জন্য নির্দিষ্ট একটি ফরম্যাট মুখস্থ করে রাখুন আর প্যাসেজ ভালো করে বুঝে পড়তে পারলে বাকী অংশটুকু সহজেই বানিয়ে লিখতে পারবেন। দ্বিতীয় পত্রে রচনা ও অনুবাদ মিলিয়ে মোট ১০০ নম্বর থাকে। বাংলা থেকে ইংরেজি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে হয়।
অনুবাদে ভালো করতে হলে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। অনুবাদ চর্চার জন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয় একটি উত্তম সহায়ক হতে পারে। অনুবাদের জন্য ভাবানুবাদকে প্রাধান্য দিন। কোনোভাবেই আক্ষরিক অনুবাদ করতে যাবেন না। যতো বেশি পারেন নতুন নতুন শব্দ মুখস্থ করে ভোকাবুলারির ভাণ্ডারকে বৃদ্ধি করুন। বেসিক গ্রামার আর ভোকাবুলারির ওপর ভালো দখল থাকলে অনুবাদ জিনিসটা আপনার কাছে আর কঠিন মনে হবে না। এ অংশে রচনাতে ৫০ মার্কস থাকে। অনেকেই অন্য প্রশ্নের উত্তর লিখতে গিয়ে শেষের দিকে আর রচনা লেখার সময় পান না। তাই রচনা লেখার জন্য হাতে অন্তত ১ ঘণ্টা সময় রাখুন। রচনার প্রস্তুতির জন্য বাসায় বসে প্রতিদিন ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং চর্চা করতে পারেন। মূল পয়েন্টগুলো নীল কালি দিয়ে লিখুন সুন্দর লাগবে। আর অবশ্যই প্যারা করে লিখুন।
পরিশেষে বলব ইংরেজিকে ভয় না পেয়ে তা জয় করার জন্য নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যান। ইংরেজিতে ভালো করতে পারলে শুধু বিসিএস না অন্য চাকরির দুয়ারও আপনার জন্য খুলে যাবে। সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
Home »
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ/সাজেশান
» বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের পরামর্শ
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের পরামর্শ
By ─────────────── সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
❒❒ Transformation of Sentences-এর ওপর আপনার পছন্দের পোস্ট/আর্টিকেল পড়তে নিচের লিংকে ক্লিক করুন/প্রবেশ করুন:
.....................................................................